কাদের উপর কোরবানি ওয়াজিব? কোন ধরনের পশু দ্বারা কোরবানি দিতে হবে? অংশিদারি কোরবানি জায়েজ কি না? কোরবানি সংক্রান্ত ৬টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের জবাব।

১ম প্রশ্নঃ 
কোরবানির নেসাব কি?

কোরবানির নেসাব হচ্ছে যাকাতের নেসাবের মত। অথাৎ
সাড়ে সাত তোলা সোনা বা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপা বা এর সমমূল্যের টাকা-পয়সা বা ব্যবসায়িক পণ্য বা অতিরিক্ত বাড়ি বা অতিরিক্ত জমি মজুদ থাকা।
অবশ্যই কোরবানির নেসাবের মালিককে নেসাবের উপর বছর অতিক্রম হতে হবে না বরং কোরবানি দিনসমুহে নেসাব মজুদ থাকলেই কোরবানি ওয়াজিব হবে।

২য় প্রশ্নঃ-
কাদের উপর কোরবানি ওয়াজিব?

প্রত্যেক প্রপ্তবয়স্ক,জ্ঞানসম্পন্ন,সুস্থ,মুসলমান( পুরুষ-মহিলা)যদি ঈদের দিনসমূহে নেসাব পরিমাণ মালের মালিক হয়ে থাকে এবং নেসাবটা নিত্যপ্রয়োজনাদি থেকে অতিরিক্ত হয় তখন তাদের উপর কোরবানি ওয়াজিব হয়ে থাকে। 
  
৩য় প্রশ্নঃ-
কোন ধরনের পশু দ্বারা কোরবানি দিতে হবে? 

হাদিসে ছয় ধরনের পশু দ্বারা কোরবানি করার অনুমতি এসেছে। তা হল, উট,মহিষ,গরু,ছাগল,বেড়া,দুম্বা।
বয়সের ক্ষেত্রে উটের বয়স ৫ বছর হতে হবে।গরু মহিষের বয়স ২ বছর আর বেড়া, ছাগল,দুম্বার বয়স ১ বছর হতে হবে।আর যদি ৬ মাসের বেড়া-দুম্বাকে দেখতে এক বছরের মনে হয় তখন তা দ্বারাও কোরবানি আদায় হয়ে যাবে।
বিঃদ্রঃ শুধুমাত্র উট,মহিষ,গরুর মাঝে সর্ব উচ্চ সাত জনের অংশীদারিত্ব জায়েজ হবে। আর বাকিগুলোতে অংশীদারিত্ত জায়েজ নেই।

৪থ প্রশ্ন
কোরবানির সময় কখন?

আরবি হিজরি সনের ১২ তম মাস অথাৎ জিলহজ্ব মাসের ১০ থেকে ১২ তারিখ এই দিনগুলো হচ্ছে কোরবানির দিন। অবশ্যই ১০ তারিখে আদায় করাটাই উত্তম।

৫ম প্রশ্ন 
যাদের উপর কোরবানি ওয়াজিব নয় তারা যদি কোরবানি করে তাহলে তা আদায় হবে কি না?

অবশ্যই আদায় হবে। তবে তা নফল হিসেবে আদায় হবে।

৬ষ্ঠ প্রশ্ন
একই পরিবারের একাধিক সদস্যের উপর কোরবানি ওয়াজিব হয় কি না?

যদি একই পরিবারের একাধিক সদস্য ব্যক্তিগতভাবে নেসাবের মালিক হয়ে থাকে তখন তাদের প্রত্যেকের উপর কোরবানি ওয়াজিব হবে।

(কে.এম. নুরে আলম সিদ্দিকী) 
     
  

মন্তব্যসমূহ